শরীরচর্চা বা ব্যায়াম না করে ফিট থাকা কিছুটা কঠিন হতে পারে, তবে দৈনন্দিন জীবনে কিছু সহজ পরিবর্তন এনে সুস্থ ও ফিট থাকা সম্ভব। নিচে কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হলো:
1. দৈনন্দিন কার্যক্রমে শারীরিক কার্যকলাপ যুক্ত করুন
- হাঁটা বা দৌড়ানো: কাজের ফাঁকে দ্রুত হাঁটা বা দৌড়ানো চেষ্টা করুন। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- বিরতি নিয়ে চলাফেরা: টানা বসে কাজ করলে প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিটের বিরতি নিয়ে অফিস ফ্লোর বা করিডোরে হাঁটুন। ফোনে কথা বলার সময়ও দাঁড়িয়ে বা হাঁটতে হাঁটতে কথা বলার চেষ্টা করুন।
2. বাড়িতে সহজ ব্যায়াম করুন
কিছু সহজ ব্যায়াম রয়েছে যা বাড়িতে বসেই করা যায় এবং ফিটনেস বজায় রাখতে সহায়ক:
- পুশ-আপস: বুক, কাঁধ ও ট্রাইসেপ মাংসপেশি শক্তিশালী করতে পুশ-আপস কার্যকর।
- স্কোয়াট: পা ও কোমরের মাংসপেশি উন্নত করতে স্কোয়াট উপযোগী।
3. সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পানীয় গ্রহণ করুন
- সুষম খাবার: প্রচুর ফলমূল, সবজি, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমন্বিত খাবার গ্রহণ করুন।
- পর্যাপ্ত পানি পান: দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান শরীরের মেটাবলিজম ঠিক রাখতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
4. পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম মেটাবলিজম ঠিক রাখতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
এই পরামর্শগুলি অনুসরণ করে, শরীরচর্চা না করেও সুস্থ ও ফিট থাকা সম্ভব। তবে, যদি সময় ও সুযোগ থাকে, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ সুস্থতার জন্য সর্বোত্তম।
অতিরিক্ত তথ্যের জন্য, নিচের ভিডিওটি দেখতে পারেন, যেখানে ব্যায়াম ছাড়া ফিট থাকার সাতটি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে: